বিডিজেন ডেস্ক
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও থানায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ মামলা হয়।
এ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, পিবিআইয়ের সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুনুর রশীদসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর অভিযুক্ত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর রাতে এই মামলা করেছেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪–দলীয় জোটের নেতা–কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাঁকে পরে আরও লাঠিপেটা করেন। আহাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, জেড আই খান পান্না মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন। তিনি বিগত সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্ত ভূমিকা নেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে শুনানিও করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্তবর্তী সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান নতুন করে লেখার যে কথা বলছে, তার সমালোচনা করেন তিনি।
আসকের বিবৃতি
জেড আইন খান পান্নার বিরুদ্ধে এ মামলাকে অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও নিন্দনীয় বলেছে মানবাধিকার সংগঠন আসক।
রোববার এই সংগঠনের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেড আই খান পান্না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাদের নেতৃবৃন্দকে আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইতে সম্পৃক্ত থেকেছেন। গণমাধ্যমে তাঁর নীতি এবং আদর্শের জায়গায় তিনি সরব ছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট–সংশ্লিষ্ট জেড আই খান পান্নার আলোচনা, মতামত ও বক্তব্যসংক্রান্ত তাঁর কোনো ভূমিকায় কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টি থেকে এ ধরনের মামলা দায়ের হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। সেই সঙ্গে মামলাটি হয়রানিমূলক বলেও প্রতীয়মান হয়।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারকর্মী জেড আই খান পান্না জীবনভর মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন এবং বলছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো তিনি ক্রসফায়ার, গুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কোনো পক্ষের অসন্তষ্টিতে পড়েছেন; আবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে বিশেষ কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টিতে পড়েছেন।
জেড আই খান পান্নার লড়াইটা প্রকৃত অর্থে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য। সাধারন মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি আর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক অগ্রসৈনিক হিসাবেই তিনি দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত। তিনি সব সরকারের আমলেই সোচ্চার ছিলেন এবং আছেন।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের বিবৃতি
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে।
ফোরাম মনে করে, এ ধরনের মামলা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিচারলাভের অধিকার খর্ব করে। অন্যদিকে এধরনের ঢালাওভাবে হয়রানিরমুলক মামলা কর্তৃত্ববাদের জন্য যারা মুলত দায়ী তাদের জবাবদিহির চলমান বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে দেশে–বিদেশে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে জেড আই খান পান্না তাঁর যৌক্তিক অবস্থানে থেকে ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি জোরালো ভূমিকা রাখেন। এমনকি ছাত্র আন্দোলনের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য এবং ৬ সমন্বয়ককে গোয়েন্দা হেফাজতে আটক রাখার ঘটনায় হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে তিনি সম্পৃক্ত থেকেছেন। তিনি বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন ও গুমের মতো স্পর্শকাতর এবং অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন।
এ ধরনের মামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা নাগরিক সমাজের চিন্তা, বিবেক ও কন্ঠরোধের বার্তা হিসেবে জনমনে উদ্রেক সৃষ্টি করেছে।
ফোরাম জেড আই খানকে পান্নাকে কোনোভাবে যেন হয়রানি করা না হয় তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছে।
একইসঙ্গে ফোরাম জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকান্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে, ফোরাম একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে যাতে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হয়রানি প্রতিরোধ করা যায় এবং ভুক্তভোগী ও নিহতদের পরিবারগুলোকে আরও সহায়তা প্রদান করা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও থানায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ মামলা হয়।
এ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, পিবিআইয়ের সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুনুর রশীদসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর অভিযুক্ত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর রাতে এই মামলা করেছেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪–দলীয় জোটের নেতা–কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাঁকে পরে আরও লাঠিপেটা করেন। আহাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, জেড আই খান পান্না মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন। তিনি বিগত সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্ত ভূমিকা নেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে শুনানিও করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্তবর্তী সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান নতুন করে লেখার যে কথা বলছে, তার সমালোচনা করেন তিনি।
আসকের বিবৃতি
জেড আইন খান পান্নার বিরুদ্ধে এ মামলাকে অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও নিন্দনীয় বলেছে মানবাধিকার সংগঠন আসক।
রোববার এই সংগঠনের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেড আই খান পান্না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাদের নেতৃবৃন্দকে আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইতে সম্পৃক্ত থেকেছেন। গণমাধ্যমে তাঁর নীতি এবং আদর্শের জায়গায় তিনি সরব ছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট–সংশ্লিষ্ট জেড আই খান পান্নার আলোচনা, মতামত ও বক্তব্যসংক্রান্ত তাঁর কোনো ভূমিকায় কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টি থেকে এ ধরনের মামলা দায়ের হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। সেই সঙ্গে মামলাটি হয়রানিমূলক বলেও প্রতীয়মান হয়।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারকর্মী জেড আই খান পান্না জীবনভর মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন এবং বলছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো তিনি ক্রসফায়ার, গুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কোনো পক্ষের অসন্তষ্টিতে পড়েছেন; আবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে বিশেষ কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টিতে পড়েছেন।
জেড আই খান পান্নার লড়াইটা প্রকৃত অর্থে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য। সাধারন মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি আর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক অগ্রসৈনিক হিসাবেই তিনি দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত। তিনি সব সরকারের আমলেই সোচ্চার ছিলেন এবং আছেন।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের বিবৃতি
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে।
ফোরাম মনে করে, এ ধরনের মামলা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিচারলাভের অধিকার খর্ব করে। অন্যদিকে এধরনের ঢালাওভাবে হয়রানিরমুলক মামলা কর্তৃত্ববাদের জন্য যারা মুলত দায়ী তাদের জবাবদিহির চলমান বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে দেশে–বিদেশে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে জেড আই খান পান্না তাঁর যৌক্তিক অবস্থানে থেকে ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি জোরালো ভূমিকা রাখেন। এমনকি ছাত্র আন্দোলনের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য এবং ৬ সমন্বয়ককে গোয়েন্দা হেফাজতে আটক রাখার ঘটনায় হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে তিনি সম্পৃক্ত থেকেছেন। তিনি বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন ও গুমের মতো স্পর্শকাতর এবং অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন।
এ ধরনের মামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা নাগরিক সমাজের চিন্তা, বিবেক ও কন্ঠরোধের বার্তা হিসেবে জনমনে উদ্রেক সৃষ্টি করেছে।
ফোরাম জেড আই খানকে পান্নাকে কোনোভাবে যেন হয়রানি করা না হয় তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছে।
একইসঙ্গে ফোরাম জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকান্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে, ফোরাম একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে যাতে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হয়রানি প্রতিরোধ করা যায় এবং ভুক্তভোগী ও নিহতদের পরিবারগুলোকে আরও সহায়তা প্রদান করা যায়।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।