নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে । ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্ক বা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
শেখ হাসিনার শাসনের ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে হওয়া নানা উদ্যোগ ও চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেন।
এএনআই তাদের প্রতিবেদনে বলছে, সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দলটির কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল এই বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে এএনআইকে বলেছেন, এতে দুই দেশের অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত নির্বাচনের পর আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তবে হাইকমিশনার আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসায় নিঃসন্দেহে পরিস্থিতির বদলেছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।’
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে বিএনপি অংশ নেয়নি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সব সময়ই অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এটি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব ভারতকে এই বলে নিশ্চিত করেছেন যে, যদি দলটি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের কোনো সুযোগ পাবে না। দক্ষিণ পূর্ব ভারতের সশস্ত্র নানা গোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন সময় এমন নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনায় পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতিসহ নানা বিষয় উঠে আসে। অন্যদিকে ভারতের মূল ইস্যু ছিল নিরাপত্তা। আমরা নিশ্চিত করেছি, আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি, আমরা নিশ্চিত করব যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই মাটি ব্যবহার না করতে পারে।’
প্রায় এক মাস আগে ছাত্র জনতার এক গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। বিএনপি এই সরকারের অংশ না হলেও আগামী নির্বাচনে দলটি অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদিন পর খালেদা জিয়া জেল থেকে ছাড়া পান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো ছিল। তবে ভারতের সঙ্গে বিএনপির কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, বরফ গলতে শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি সময়ের সাথে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। ভারত হয়ত আমাদের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। আমি বিশেষ করে ভারতকে আহ্বান জানাবো, তারা যেন এই দেশের মানুষের হৃৎস্পন্দন বোঝার চেষ্টা করেন। সবগুলো ডিমকে একই বক্সে রাখাটা তাদের মোটেই উচিত হবে না। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে তাদের জোর দেওয়া উচিত।’
নিউইয়র্কে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠককে দুই পক্ষের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়া প্রয়োজন। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কই দুই দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে।’
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনে করে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, সরকার তাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনুরোধ জানিয়েছে কিনা। তবে আমি মনে করি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।’
বিএনপি বলছে, আসন্ন দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের দলের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে । ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্ক বা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
শেখ হাসিনার শাসনের ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে হওয়া নানা উদ্যোগ ও চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেন।
এএনআই তাদের প্রতিবেদনে বলছে, সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দলটির কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল এই বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে এএনআইকে বলেছেন, এতে দুই দেশের অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত নির্বাচনের পর আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তবে হাইকমিশনার আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসায় নিঃসন্দেহে পরিস্থিতির বদলেছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।’
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে বিএনপি অংশ নেয়নি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সব সময়ই অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এটি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব ভারতকে এই বলে নিশ্চিত করেছেন যে, যদি দলটি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের কোনো সুযোগ পাবে না। দক্ষিণ পূর্ব ভারতের সশস্ত্র নানা গোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন সময় এমন নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনায় পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতিসহ নানা বিষয় উঠে আসে। অন্যদিকে ভারতের মূল ইস্যু ছিল নিরাপত্তা। আমরা নিশ্চিত করেছি, আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি, আমরা নিশ্চিত করব যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই মাটি ব্যবহার না করতে পারে।’
প্রায় এক মাস আগে ছাত্র জনতার এক গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। বিএনপি এই সরকারের অংশ না হলেও আগামী নির্বাচনে দলটি অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদিন পর খালেদা জিয়া জেল থেকে ছাড়া পান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো ছিল। তবে ভারতের সঙ্গে বিএনপির কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, বরফ গলতে শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি সময়ের সাথে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। ভারত হয়ত আমাদের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। আমি বিশেষ করে ভারতকে আহ্বান জানাবো, তারা যেন এই দেশের মানুষের হৃৎস্পন্দন বোঝার চেষ্টা করেন। সবগুলো ডিমকে একই বক্সে রাখাটা তাদের মোটেই উচিত হবে না। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে তাদের জোর দেওয়া উচিত।’
নিউইয়র্কে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠককে দুই পক্ষের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়া প্রয়োজন। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কই দুই দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে।’
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনে করে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, সরকার তাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনুরোধ জানিয়েছে কিনা। তবে আমি মনে করি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।’
বিএনপি বলছে, আসন্ন দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের দলের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অসত্য, দুরভিসন্ধিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
জাতি গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রবাসীরাই মূল ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের সমস্যার কথা বারবার বাইরে গিয়ে বলে লাভ নেই মন্তব্য করে বলেছেন, সমাধান বাংলাদেশের মানুষের কাছে। তাই এখানেই কথা বলতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম। শুক্রবার বিকালে বিসিবির এক সভায় আমিনুলকে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।