নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরেছেন। আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরে নেমে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি শেখ হাসিনা এবং তার বিদেশি প্রভু বাংলাদেশের এজেন্টদের দিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যেন কোনো অনৈক্য না আসে। আপনাদের ঐক্যে ফাটল ধরে যাতে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, প্রবাসে নির্বাসনে থাকার পর আপন মাতৃভূমিতে আসতে পেরে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সেইসঙ্গে ছাত্র-জনতার মহান বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে ভারতের দালাল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের উৎখাত করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে পরম কৃতজ্ঞতা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা এই বিপ্লবে শহীদদের কোনোদিনও ভুলে যেতে পারি না।
এ সময় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেন, জামায়াত বলেন, অন্যান্য দল বলেন, তারা তাদের মতো করে লড়াই করেছে। আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে ‘আমার দেশ’ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আমার লড়াই ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই, আমার লড়াই ছিল কালচারের লড়াই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে ফ্যাসিজমকে কবর দিয়েছেন। এক সময় বাংলাদেশের যে তরুণেরা কিউবা বিপ্লবের নায়ক চে গুয়েভারাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করতো, সেই তরুণেরা এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে। বাংলাদেশের বিপ্লবের আইকনের নাম আবু সাঈদ। আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে ফ্যাসিস্ট পুলিশের উদ্যত রাইফেলের সামনে উদ্ভাসিত মুখে দাঁড়িয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। তার এই মৃত্যু বাংলাদেশের জনগণকে যুগের পর যুগ অনুপ্রেরণা দেবে।’
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ‘আজ থেকে ২০০ বছর আগে তিতুমীর বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন। ১৮৩১ সালের অর্থাৎ প্রায় ২০০ বছর পরে আমরা শহীদ তিতুমীরকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আমি আশাবাদী আজ থেকে ২০০ বছর পরে আগামী প্রজন্ম আবু সাঈদের কথা বলে তিতুমীরের মতো গর্ব অনুভব করবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী আবু সাঈদ আমাদের কাছে বিপ্লবের আইকন হিসেবে থাকবেন।’
ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের কথা স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবতাবোধের মহানায়কের নাম বলতে গেলে আমাদের মুগ্ধের নাম মনে পড়ে। এই উত্তরার রাজপথে এক সুদর্শন তরুণ পরম মমতায় রাস্তায় দৌড়ে বের হয়ে বলেছে, পানি লাগবে ভাই? এই দৃশ্য মনে করলে আমি আবেগ ধরে রাখতে পারি না।’
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মাহমুদুর রহমান। শেখ হাসিনার সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়। ২০১০ সালের জুনে প্রথম দফায় আমার দেশ বন্ধ করাসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আমার দেশ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরেছেন। আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরে নেমে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি শেখ হাসিনা এবং তার বিদেশি প্রভু বাংলাদেশের এজেন্টদের দিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যেন কোনো অনৈক্য না আসে। আপনাদের ঐক্যে ফাটল ধরে যাতে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, প্রবাসে নির্বাসনে থাকার পর আপন মাতৃভূমিতে আসতে পেরে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সেইসঙ্গে ছাত্র-জনতার মহান বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে ভারতের দালাল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের উৎখাত করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে পরম কৃতজ্ঞতা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা এই বিপ্লবে শহীদদের কোনোদিনও ভুলে যেতে পারি না।
এ সময় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেন, জামায়াত বলেন, অন্যান্য দল বলেন, তারা তাদের মতো করে লড়াই করেছে। আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে ‘আমার দেশ’ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আমার লড়াই ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই, আমার লড়াই ছিল কালচারের লড়াই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে ফ্যাসিজমকে কবর দিয়েছেন। এক সময় বাংলাদেশের যে তরুণেরা কিউবা বিপ্লবের নায়ক চে গুয়েভারাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করতো, সেই তরুণেরা এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে। বাংলাদেশের বিপ্লবের আইকনের নাম আবু সাঈদ। আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে ফ্যাসিস্ট পুলিশের উদ্যত রাইফেলের সামনে উদ্ভাসিত মুখে দাঁড়িয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। তার এই মৃত্যু বাংলাদেশের জনগণকে যুগের পর যুগ অনুপ্রেরণা দেবে।’
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ‘আজ থেকে ২০০ বছর আগে তিতুমীর বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন। ১৮৩১ সালের অর্থাৎ প্রায় ২০০ বছর পরে আমরা শহীদ তিতুমীরকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আমি আশাবাদী আজ থেকে ২০০ বছর পরে আগামী প্রজন্ম আবু সাঈদের কথা বলে তিতুমীরের মতো গর্ব অনুভব করবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী আবু সাঈদ আমাদের কাছে বিপ্লবের আইকন হিসেবে থাকবেন।’
ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের কথা স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবতাবোধের মহানায়কের নাম বলতে গেলে আমাদের মুগ্ধের নাম মনে পড়ে। এই উত্তরার রাজপথে এক সুদর্শন তরুণ পরম মমতায় রাস্তায় দৌড়ে বের হয়ে বলেছে, পানি লাগবে ভাই? এই দৃশ্য মনে করলে আমি আবেগ ধরে রাখতে পারি না।’
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মাহমুদুর রহমান। শেখ হাসিনার সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়। ২০১০ সালের জুনে প্রথম দফায় আমার দেশ বন্ধ করাসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আমার দেশ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।