বিডিজেন ডেস্ক
দেশে ও দেশের বাইরে প্রতিটি নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির নাম পাসপোর্ট। বিদেশে থাকার সময় পাসপোর্টের কার্যকারিতার ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত। আপনার বর্তমান পাসপোর্টটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা পাসপোর্টের কোনো তথ্য পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে নতুন আরেকটি পাসপোর্টে আবেদন করা ও নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় হলো পাসপোর্ট রিনিউ বা রি-ইস্যু। উভয় ক্ষেত্রেই নতুন পাসপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর আগের পাসপোর্ট বাতিল করা হয় ও নতুনটি সচল হয়।
বিদেশে অবস্থান করার সময় নিজের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগেই নবায়ন করা ভালো।
প্রবাসীদের পাসপোর্ট রিনিউ পদ্ধতি
এই কাজটি সহজভাবে করতে হলে আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের দূতাবাসে চলে যাবেন, এরপরে সেখানে পাসপোর্ট ইস্যু কিংবা নবায়নের একটি অনলাইন আবেদন করবেন। অবশ্যই আবেদন করতে হলে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে, এর সাথে বাংলাদেশের থাকা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যাবেন, এবং এটি প্রিন্ট আউট করে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের কোনো তথ্য যদি নতুন পাসপোর্ট পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হতে পারে, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেবে কোন ডকুমেন্ট লাগবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী প্রবাসে আপনার ইকামা/ রেসিডেন্সিয়াল কার্ড হয়ে থাকে। পাসপোর্টে কোনো তথ্য পরিবর্তন হলে অবশ্যই ইকামা কিংবা রেসিডেন্সিয়াল কার্ড সংশোধন করে নেবেন। আর প্রবাস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ/ সংশোধন/ রি ইস্যু ফি করতে হবে মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার চেক বা অফিসিয়াল চেকের মাধ্যমে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার অনলাইন আবেদন করতে হবে প্রাথমিকভাবে, এবং আবেদন করার সময় অবশ্যই জানতে চাওয়া হবে আবেদনটি আপনি বাংলাদেশে বসে করছেন নাকি বাংলাদেশের বাইরে বসে করছেন “Are You Applying from Bangladesh? “, আপনি যেহেতু প্রবাস থেকে আবেদন করবেন সেহেতু “ NO” select করে আপনাকে বাংলাদেশের বাইরের দেশটি সিলেকশন করে দিতে হবে। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া নিচে প্রদান করা হলো
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
১। প্রথমে অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় যেতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফরম ই-পাসপোর্ট/ রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। পাসপোর্ট পোর্টাল থেকে নতুন পাসপোর্ট আবেদন কিংবা নবায়নের জন্য ক্লিক করলেই প্রাথমিক জানতে চাওয়া হবে Are You Applying from Bangladesh? এক্ষেত্রে যারা বাংলাদেশে বসে আবেদন করবেন তারা yes দেবেন অতঃপর আপনার জেলার নাম এবং প্রবাসে বসে যারা পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করবেন তারা no দিয়ে আপনার বর্তমান দেশের নাম সিলেক্ট করবেন, এরপরে একটি ইমেইল , পাসওয়ার্ড, একটি মোবাইল নাম্বার এবং আপনার নাম দিয়ে এভাবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অতঃপর একাউন্ট লগইন করে পুনরায় Apply for New Passport লিংকে গিয়ে passport type + personal details + address দিয়ে ID Document স্টেপে যাবেন।
এখানে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এমআরপি হয়ে থাকলে Yes, i have a machine readable passport (MRP) , এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি ই পাসপোর্ট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে Yes, I have Electronic Passport (ePP) অপশনটি বাছাই করুন।
এর পরের ধাপে What is the reason for your passport request? অপশন থেকে আপনার পাসপোর্টটি কোন কারণে ইস্যু কিংবা রিনিউ করবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন যেমন-
CONVERSION TO EPASSPORT- এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট নবায়ন
EXPIRED- পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ
LOST/ STOLEN- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে
DATA CHANGE- তথ্য সংশোধনের জন্য
UNUSABLE- পাসপোর্ট নষ্ট বা ছিঁড়ে গেলে
OTHER- অন্যান্য
আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যদি শেষ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই EXPIRED সিলেক্ট করতে হবে, অথবা আপনার যদি অন্য কোন কারণ থাকে সেটি উল্লেখ করুন আপনার সুবিধামতো। এরপর আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্ট প্রদানের ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
এরপর ধারাবাহিকভাবে যেমন একটি নতুন পাসপোর্ট আবেদন করবেন ঠিক তেমনি পাসপোর্টের পেজ সংখ্যা, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং অন্যান্য তথ্য লিখতে হবে। আবেদন করা শেষে অবশ্যই পাসপোর্ট আবেদন আইডি নম্বর সংগ্রহ করে রাখবেন। এবং আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নেবেন। এরপরে আপনার আবেদন পত্রের সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে আপনার দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে?
আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
জাতীয় পরিচয় পত্র / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের মেইন এবং ফটোকপি
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC
রেজিস্ট্রেশন ফরম / সামারি পেজ
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত টাকা লাগে?
নতুন পাসপোর্ট আবেদন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি একই। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। অন্যদিকে ১০ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার জন্য ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ৮ হাজার ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। পাসপোর্ট ফি এ চালান কিংবা বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ২১ কার্যদিবস, রেগুলার ডেলিভারিতে ৪৫ কার্যদিবস লাগে। তথ্য অসামঞ্জস্যতা বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের সময়ে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ই-পাসপোর্ট ঢাকা থেকে প্রস্তুত হয়ে বিতরণ হয় বলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে আনুমানিক ৭৫ দিন সময় লাগে। জার্মানিতে ৮-১০ সপ্তাহ; কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়।
নবায়নকৃত পাসপোর্ট সংগ্রহ
তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারী যদি একটি প্রিপেইড ও স্ব-ঠিকানাযুক্ত রিটার্ন খাম (শুধুমাত্র ইউএসপিএস) ট্র্যাকিং নম্বর এবং নিজের বাংলাদেশি এনআইডির অনুলিপি প্রদান করেন তাহলে তাকে নতুন পাসপোর্ট ডাকযোগে পাঠানো হবে।
নতুন পাসপোর্ট ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এ সময় সাধারণ টেমপ্লেট সহ একটি সিস্টেম জেনারেট করা ইমেল ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য আবেদনকারীর নিকট একটি ইমেইল যায়। এই বার্তাপ্রাপ্তির পর রিটার্ন খাম এবং এনআইডি এর কপি প্রদানকারীরা নিজের বর্তমান ঠিকানায় ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
যাদের বাংলাদেশি এনআইডি নেই তাদেরকে যে কোনো কর্মদিবসে বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দূতাবাসে যেয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেই পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার আপডেট পাওয়া যায়।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো মানুষ বেশি করে
ভুল তথ্য প্রদান – আবেদন করার সময় ব্যক্তিগত কিংবা অন্যান্য তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে গরমিল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব – রিনিউ করার জন্য পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকলে আবেদন বাতিল হবে।
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতা – অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয় এটি না জেনেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, এক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে আবেদন করে নেবেন ।
দ্রুত প্রসেসিংয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান – দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে তার পাসপোর্টটি দ্রুত হাতে পাওয়ার জন্য এটা মোটেও উচিত নয়।
পাসপোর্ট ফি পরিশোধে বিলম্ব বা ভুল করা – আপনি যদি পাসপোর্ট ফি পরিশোধ ছাড়াই আবেদন সম্পন্ন করতে চান তাহলে এটি সম্ভব না, আপনাকে প্রাথমিকভাবে ফি পরিশোধ করে চালান কপি কিংবা ব্যাংক কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে, অবশ্যই আবেদন করার সময় আপনি যত পৃষ্ঠার এবং যত বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন আপনাকে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি করতে হবে।
দেশে ও দেশের বাইরে প্রতিটি নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির নাম পাসপোর্ট। বিদেশে থাকার সময় পাসপোর্টের কার্যকারিতার ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত। আপনার বর্তমান পাসপোর্টটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা পাসপোর্টের কোনো তথ্য পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে নতুন আরেকটি পাসপোর্টে আবেদন করা ও নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় হলো পাসপোর্ট রিনিউ বা রি-ইস্যু। উভয় ক্ষেত্রেই নতুন পাসপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর আগের পাসপোর্ট বাতিল করা হয় ও নতুনটি সচল হয়।
বিদেশে অবস্থান করার সময় নিজের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগেই নবায়ন করা ভালো।
প্রবাসীদের পাসপোর্ট রিনিউ পদ্ধতি
এই কাজটি সহজভাবে করতে হলে আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের দূতাবাসে চলে যাবেন, এরপরে সেখানে পাসপোর্ট ইস্যু কিংবা নবায়নের একটি অনলাইন আবেদন করবেন। অবশ্যই আবেদন করতে হলে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে, এর সাথে বাংলাদেশের থাকা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যাবেন, এবং এটি প্রিন্ট আউট করে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের কোনো তথ্য যদি নতুন পাসপোর্ট পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হতে পারে, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেবে কোন ডকুমেন্ট লাগবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী প্রবাসে আপনার ইকামা/ রেসিডেন্সিয়াল কার্ড হয়ে থাকে। পাসপোর্টে কোনো তথ্য পরিবর্তন হলে অবশ্যই ইকামা কিংবা রেসিডেন্সিয়াল কার্ড সংশোধন করে নেবেন। আর প্রবাস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ/ সংশোধন/ রি ইস্যু ফি করতে হবে মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার চেক বা অফিসিয়াল চেকের মাধ্যমে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার অনলাইন আবেদন করতে হবে প্রাথমিকভাবে, এবং আবেদন করার সময় অবশ্যই জানতে চাওয়া হবে আবেদনটি আপনি বাংলাদেশে বসে করছেন নাকি বাংলাদেশের বাইরে বসে করছেন “Are You Applying from Bangladesh? “, আপনি যেহেতু প্রবাস থেকে আবেদন করবেন সেহেতু “ NO” select করে আপনাকে বাংলাদেশের বাইরের দেশটি সিলেকশন করে দিতে হবে। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া নিচে প্রদান করা হলো
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
১। প্রথমে অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় যেতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফরম ই-পাসপোর্ট/ রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। পাসপোর্ট পোর্টাল থেকে নতুন পাসপোর্ট আবেদন কিংবা নবায়নের জন্য ক্লিক করলেই প্রাথমিক জানতে চাওয়া হবে Are You Applying from Bangladesh? এক্ষেত্রে যারা বাংলাদেশে বসে আবেদন করবেন তারা yes দেবেন অতঃপর আপনার জেলার নাম এবং প্রবাসে বসে যারা পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করবেন তারা no দিয়ে আপনার বর্তমান দেশের নাম সিলেক্ট করবেন, এরপরে একটি ইমেইল , পাসওয়ার্ড, একটি মোবাইল নাম্বার এবং আপনার নাম দিয়ে এভাবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অতঃপর একাউন্ট লগইন করে পুনরায় Apply for New Passport লিংকে গিয়ে passport type + personal details + address দিয়ে ID Document স্টেপে যাবেন।
এখানে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এমআরপি হয়ে থাকলে Yes, i have a machine readable passport (MRP) , এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি ই পাসপোর্ট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে Yes, I have Electronic Passport (ePP) অপশনটি বাছাই করুন।
এর পরের ধাপে What is the reason for your passport request? অপশন থেকে আপনার পাসপোর্টটি কোন কারণে ইস্যু কিংবা রিনিউ করবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন যেমন-
CONVERSION TO EPASSPORT- এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট নবায়ন
EXPIRED- পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ
LOST/ STOLEN- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে
DATA CHANGE- তথ্য সংশোধনের জন্য
UNUSABLE- পাসপোর্ট নষ্ট বা ছিঁড়ে গেলে
OTHER- অন্যান্য
আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যদি শেষ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই EXPIRED সিলেক্ট করতে হবে, অথবা আপনার যদি অন্য কোন কারণ থাকে সেটি উল্লেখ করুন আপনার সুবিধামতো। এরপর আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্ট প্রদানের ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
এরপর ধারাবাহিকভাবে যেমন একটি নতুন পাসপোর্ট আবেদন করবেন ঠিক তেমনি পাসপোর্টের পেজ সংখ্যা, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং অন্যান্য তথ্য লিখতে হবে। আবেদন করা শেষে অবশ্যই পাসপোর্ট আবেদন আইডি নম্বর সংগ্রহ করে রাখবেন। এবং আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নেবেন। এরপরে আপনার আবেদন পত্রের সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে আপনার দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে?
আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
জাতীয় পরিচয় পত্র / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের মেইন এবং ফটোকপি
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC
রেজিস্ট্রেশন ফরম / সামারি পেজ
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত টাকা লাগে?
নতুন পাসপোর্ট আবেদন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি একই। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। অন্যদিকে ১০ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার জন্য ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ৮ হাজার ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। পাসপোর্ট ফি এ চালান কিংবা বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ২১ কার্যদিবস, রেগুলার ডেলিভারিতে ৪৫ কার্যদিবস লাগে। তথ্য অসামঞ্জস্যতা বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের সময়ে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ই-পাসপোর্ট ঢাকা থেকে প্রস্তুত হয়ে বিতরণ হয় বলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে আনুমানিক ৭৫ দিন সময় লাগে। জার্মানিতে ৮-১০ সপ্তাহ; কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়।
নবায়নকৃত পাসপোর্ট সংগ্রহ
তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারী যদি একটি প্রিপেইড ও স্ব-ঠিকানাযুক্ত রিটার্ন খাম (শুধুমাত্র ইউএসপিএস) ট্র্যাকিং নম্বর এবং নিজের বাংলাদেশি এনআইডির অনুলিপি প্রদান করেন তাহলে তাকে নতুন পাসপোর্ট ডাকযোগে পাঠানো হবে।
নতুন পাসপোর্ট ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এ সময় সাধারণ টেমপ্লেট সহ একটি সিস্টেম জেনারেট করা ইমেল ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য আবেদনকারীর নিকট একটি ইমেইল যায়। এই বার্তাপ্রাপ্তির পর রিটার্ন খাম এবং এনআইডি এর কপি প্রদানকারীরা নিজের বর্তমান ঠিকানায় ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
যাদের বাংলাদেশি এনআইডি নেই তাদেরকে যে কোনো কর্মদিবসে বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দূতাবাসে যেয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেই পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার আপডেট পাওয়া যায়।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো মানুষ বেশি করে
ভুল তথ্য প্রদান – আবেদন করার সময় ব্যক্তিগত কিংবা অন্যান্য তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে গরমিল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব – রিনিউ করার জন্য পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকলে আবেদন বাতিল হবে।
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতা – অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয় এটি না জেনেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, এক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে আবেদন করে নেবেন ।
দ্রুত প্রসেসিংয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান – দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে তার পাসপোর্টটি দ্রুত হাতে পাওয়ার জন্য এটা মোটেও উচিত নয়।
পাসপোর্ট ফি পরিশোধে বিলম্ব বা ভুল করা – আপনি যদি পাসপোর্ট ফি পরিশোধ ছাড়াই আবেদন সম্পন্ন করতে চান তাহলে এটি সম্ভব না, আপনাকে প্রাথমিকভাবে ফি পরিশোধ করে চালান কপি কিংবা ব্যাংক কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে, অবশ্যই আবেদন করার সময় আপনি যত পৃষ্ঠার এবং যত বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন আপনাকে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি করতে হবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা ফাঁদ পেতে রাখে। শুধু টাকাপয়সা নেওয়াই নয় স্মার্টফোন কব্জা করে আপনার অজান্তেই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য তারা হাতিয়ে নিতে পারে নিমেষে। তা হলে উপায়?
আমরা দিনের শুরুতে অনেকেই চা পান করি। কেউ খালি পেটে পান করি, আবার কেউ নাশতার সময় পান করি। পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ের অনেক উপকারী গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু খালি পেটে চা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? কী কী হতে পারে খালি পেটে চা খেলে?
শীতে গরম পানি ছাড়া গোসল করার কথা যেন ভাবাই যায় না। তবে গরম পানি নিয়ে রয়েছে নানা বিশেষজ্ঞের নানা মত। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো না খারাপ!