logo
বিদেশে উচ্চশিক্ষা

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা: এক ঝলকে সব তথ্য

দেশের বাইরে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য অন্যতম সেরা জায়গা যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা। বিশ্বের প্রথম সারির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এই যুক্তরাষ্ট্রে।

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Copied!
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা: এক ঝলকে সব তথ্য
বিশ্বের প্রথম সারির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে।

দেশের বাইরে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য অন্যতম সেরা জায়গা যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা। বিশ্বের প্রথম সারির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এই যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে শিক্ষা খাতে গবেষণা থেকে শুরু করে পরিবেশ, মান ও ফান্ডিং ভালো। এ জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম দিকের পছন্দ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়।

আজকের আলোচনায় থাকছে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিয়ে খুঁটিনাটি।

প্রাথমিক প্রস্তুতি

স্নাতক লেভেলে সব জায়গা থেকেই স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তবে, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করতেও যেতে চান অনেকে। সবক্ষেত্রেই অন্তত ৭-৮ মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। আর্থিক সামর্থ্য বুঝে বেছে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়।

কোথায় পড়বেন?

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেতে পারে তার একটি তালিকা করুন। এক্ষেত্রে পছন্দের বিষয়, আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা ও ফান্ডিং বিবেচনায় রাখতে হবে। এসব তথ্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে।

আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইমার্জিং গ্লোবাল লিডার

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

ক্লার্ক ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্সিয়াল এলইইপি

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

এএইউডব্লিউ ইন্টারন্যাশনাল

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

ফুলব্রাইট ফরেন

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

কোটজেন

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

এসব স্কলারশিপের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। এসব স্কলারশিপে সম্পূর্ণ ফ্রিতে পড়াশোনার সুযোগ থাকছে।

বৃত্তি ছাড়া পড়ার সুযোগ আছে, কিন্তু সেটি বেশ ব্যয়বহুল। স্নাতক পর্যায়ে পড়তে গেলে ন্যূনতম ২০ হাজার ডলার (প্রায় ১৯ লাখ টাকা) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়তে হলে ন্যূনতম ১৭ হাজার ডলার (প্রায় ১৬ লাখ টাকা) খরচ হতে পারে। এ ছাড়া দেশটির একেক স্টেটের খরচ একেক রকম। এসব ব্যাপারে ধারণা নিয়ে রাখতে হবে।

আবেদনে যা লাগবেই

বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে আবেদনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ভালো ফলাফলের প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ভালো আইইএলটিএস, টোয়েফল স্কোর এবং ভালো স্যাট স্কোরের দরকার হয়। মাস্টার্স (সময়কাল দুই বছর) অথবা পিএইচডি (সময়কাল পাঁচ বছর) প্রোগ্রামে আবেদনের ক্ষেত্রে মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্সে সিজিপিএ মোটামুটি ৩-এর মতো হলেই আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সিজিপিএ ৩-এর কম থাকলেও আবেদন গ্রহণ করে। আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ন্যূনতম ৬ থেকে ৬.৫ আর টোয়েফল স্কোর মোটামুটি ৭৯ হতে হয়। জিআরই স্কোর ৩০০+ হলে ভালো হয়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই বাধ্যতামূলক নয়।

নিজেকে আরও যোগ্য করতে যা লাগবে

মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য অনার্স বা ব্যাচেলরে সিজিপিএ ৩.৫০+ থাকলে ভালো হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে অনার্সের পাশাপাশি মাস্টার্সের একটা ফলাফল ৩.৫০+ রাখা উত্তম। আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৭.০+ অথবা টোয়েফলের ক্ষেত্রে ৯৩+ স্কোর কিংবা জিআরইর স্কোর ৩১০ বা এর আশপাশে থাকলে ভালো। এরপর স্টেটমেন্ট অব পারপাসটা (এসওপি) হতে হবে আদর্শ মানের।

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটা লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর) প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থিসিস, রিসার্চ সুপারভাইজর অথবা অফিসের বস হলে ভালো হয়, যাঁরা আপনার সম্পর্কে ভালো জানেন। এ ছাড়া যদি গবেষণার অভিজ্ঞতা ও রিসার্চ পাবলিকেশন থাকে, তাহলে আরও যোগ্য হয়ে উঠা যাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই কমিটি আবেদনকারী ব্যক্তিদের যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে ইন্টারভিউ নিবে এবং সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে স্কলারশিপ দেবে বা ফান্ডিং করবে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির ক্ষেত্রে কোনো অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আবেদন করা যেতে পারে।

আবেদন করার সময়

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরের দুটি সেশনে আবেদন করা যায়: ফল সেশন (আগস্ট-ডিসেম্বর) এবং স্প্রিং সেশন (জানুয়ারি-মে)। ফল সেশনে আবেদনের সময়কাল থাকে মূলত অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি এবং স্প্রিং সেশনের জন্য জুলাই-সেপ্টেম্বর। তবে প্রধান ইনটেক হলো ফল সেশন। এ ক্ষেত্রে স্কলারশিপ বা ফান্ডিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে সাধারণত।

আবেদন ফি

একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি একেক রকম। তবে অ্যাপ্লিকেশন ফি সাধারণত ৩৫ ডলার থেকে ১২৫ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন

দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

কানাডা ও ইউরোপে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র্যময় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে স্কলারশিপ কিংবা আর্থিক সহায়তার সুযোগ কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকতা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে পারবেন অস্ট্রিয়ার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে

আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে পারবেন অস্ট্রিয়ার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে

অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অনেকেই আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে যেতে চান দেশটিতে। তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য।

বিদেশে পড়াশোনায় যেসব ডকুমেন্ট লাগবেই

বিদেশে পড়াশোনায় যেসব ডকুমেন্ট লাগবেই

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা যেমন জরুরি, তেমন জরুরি এসব ডকুমেন্ট জোগাড় করে রাখা। আজ আলোচনা করা যাক সেসব প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েই।

অস্ট্রেলিয়ায় ওডউইন জোনস স্কলারশিপ, যেসব বিষয়ে পড়বেন

অস্ট্রেলিয়ায় ওডউইন জোনস স্কলারশিপ, যেসব বিষয়ে পড়বেন

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত খনিজ সম্পদ গবেষক ইমেরিটাস প্রফেসর ওডউইন জোনসের সম্মানে তাঁর নামে এই বৃত্তির নামকরণ করা হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বৃত্তিটি নিয়ে পিএইচডি করা যাবে। মিনারেলস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এই বৃত্তি দেয়।