logo
বিদেশে উচ্চশিক্ষা

দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

কানাডা ও ইউরোপে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র্যময় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে স্কলারশিপ কিংবা আর্থিক সহায়তার সুযোগ কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকতা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক৩ ঘণ্টা আগে
Copied!
দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স (স্নাতক) অথবা কলেজে ডিগ্রি সম্পন্ন করে অনেকেই দেশের বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) করতে চান। এর মধ্যে অনেকেই যেতে যান স্কলারশিপ নিয়ে। তবে কেউ কেউ নিজ খরচে পড়তে চান ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আজ বিদেশে মাস্টার্স করতে আগ্রহীদের জন্য থাকছে কিছু পরামর্শ।

কোন দেশে যাবেন

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও জার্মানি– বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের এসব দেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী যেতে আগ্রহী । এসব দেশে পড়তে যাওয়ার জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণ কিছু নিয়ম বিশ্বের প্রায় সব দেশে একই।

তাই প্রথমেই কোন দেশে যেতে চান, তা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্স, শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ, জীবনযাপনের ব্যয়সহ নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

কোন দেশে সুযোগ কেমন

কানাডা ও ইউরোপে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র্যময় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে স্কলারশিপ কিংবা আর্থিক সহায়তার সুযোগ কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকতা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেসব দেশে কেন্দ্রীয় তহবিল নেই, সেখানে পড়াশোনার বিষয় সম্পর্কে সহায়ক অধ্যাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। এতে করে সুযোগ পাওয়া যেতে পারে স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকের সহকারী হিসেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক গবেষণা বা সহকারী হিসেবে পড়াশোনার অর্থ জোগাড়ের সুযোগ করে দেয়। যে বিষয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদন করছেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল না থাকলে সেই অধ্যাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, যাদের গবেষণার বিষয় আপনার সঙ্গে মিলবে। তাহলেই স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকের সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ পাওয়া সম্ভব।

কিছু ইউরোপীয় দেশে টিউশন ফি খুব কম। কিছু দেশে একদম নেই। জার্মানি, ইতালি ও অস্ট্রিয়ায় এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যায়। অনেক সময় কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করা যেতে পারে। স্থায়ী বসবাস বা পিআরের অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হলে, কানাডার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন।

যদি আপনি যুক্তরাজ্য বা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে মাস্টার্স করতে চান, তাহলে ইরাসমাস মুন্ডাস, কমনওয়েলথ বা ডিএএডি ভাষার বৃত্তির মাধ্যমে সুযোগ মিলতে পারে।

কি নিয়ে পড়তে চান

দেশ বাছাইয়ের পর গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে মাস্টার্স করতে চান, সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়া। টিউশন ফি, আবহাওয়া, গবেষণার সুযোগ, চাকরির সুযোগ, পরিবহন, জীবনযাত্রার খরচ ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত। কোর্স বা প্রোগ্রাম নির্ধারণের সময় বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে কোনটির চাহিদা বেশি, কী পড়লে সহজেই পেশাগত উন্নতি ও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব, আপনি যে দেশে পড়তে যেতে আগ্রহী সে দেশে আপনার পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষার মান বা পদ্ধতি বিশ্বে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা কতটুকু সময়োপযোগী, ভবিষ্যতের পেশাগত জীবন, কোর্সটিতে পড়াশোনা শেষে কোথায় কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলবেন, সেখানের সুযোগ-সুবিধা, সম্ভাবনা ও অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতার মাত্রা কতটুকু– এ প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর পাওয়ার জন্য কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচয় থাকলে আগে থেকেই আলাপ করে নিতে পারেন।

জেনে নিন আবেদনের সময়

যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রধানত উইন্টার ও ফল সেশনে আবেদন গ্রহণ করে। ফল সেশনের আবেদন আগের বছরের আগস্টে জমা নেওয়া শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত তারা আবেদন গ্রহণ করে। অনেক সময় ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও আবেদন জমা নেওয়া হয়।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফল সেশনটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারণ, এ সেশনের সময় বেশির ভাগ আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকে। উইন্টার সেশনের আবেদন আগের বছরের এপ্রিলের দিকে জমা শুরু হয় এবং মে মাসের শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়।

বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় উইন্টার সেশনে সব কোর্স অফার করে না। কাজেই আপনি যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন সেটি কোন সেশনে আছে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টাইমলাইন কিছুটা ভিন্ন। দেশভেদে এগুলো ভিন্ন হয়। কিন্তু আপনি যদি ১০ থেকে ১২ মাস সময় নিয়ে শুরু করতে পারেন, তাহলে যে দেশেই যেতে চান না কেন, পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে যথেষ্ট সময় পাবেন।

পাশাপাশি আইইএলটিসে ভালো স্কোর প্রয়োজন হতে পারে। ভাষা শিক্ষার বিষয়টি আপনাকে বাড়তি সুযোগ দিতে পারে।

আরো পড়ুন

দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চাইলে…

কানাডা ও ইউরোপে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র্যময় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে স্কলারশিপ কিংবা আর্থিক সহায়তার সুযোগ কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক গবেষণা বা শিক্ষকতা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে পারবেন অস্ট্রিয়ার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে

আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে পারবেন অস্ট্রিয়ার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে

অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অনেকেই আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে যেতে চান দেশটিতে। তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য।

বিদেশে পড়াশোনায় যেসব ডকুমেন্ট লাগবেই

বিদেশে পড়াশোনায় যেসব ডকুমেন্ট লাগবেই

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা যেমন জরুরি, তেমন জরুরি এসব ডকুমেন্ট জোগাড় করে রাখা। আজ আলোচনা করা যাক সেসব প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েই।

অস্ট্রেলিয়ায় ওডউইন জোনস স্কলারশিপ, যেসব বিষয়ে পড়বেন

অস্ট্রেলিয়ায় ওডউইন জোনস স্কলারশিপ, যেসব বিষয়ে পড়বেন

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত খনিজ সম্পদ গবেষক ইমেরিটাস প্রফেসর ওডউইন জোনসের সম্মানে তাঁর নামে এই বৃত্তির নামকরণ করা হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বৃত্তিটি নিয়ে পিএইচডি করা যাবে। মিনারেলস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এই বৃত্তি দেয়।