
মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান, কানাডা থেকে

আমেরিকায় দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিল করার লক্ষ্যে কঠোর একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা। ওহাইওর রিপাবলিকান সিনেটর বার্নি মোরেনো সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি বিল সিনেটে পেশ করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'এক্সক্লুসিভ সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট অব ২০২৫' (Exclusive Citizenship Act of 2025)।
যদি এই বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের দ্বৈত নাগরিকেরা কঠিন এক সংকটের মুখে পড়বেন। আইনটি কার্যকর হলে, তাদের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব বেছে নিতে হবে।
প্রস্তাবের মূল কথা: শুধু আমেরিকার প্রতিই আনুগত্য
সিনেটর মোরেনোর প্রস্তাবের মূল বক্তব্য হলো, একজন আমেরিকান নাগরিকের আনুগত্য শুধুমাত্র আমেরিকার প্রতিই নিবেদিত হওয়া উচিত। দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বার্থের সংঘাত এবং বিভক্ত আনুগত্য (divided loyalties) সৃষ্টি করে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে যা ঘটবে
সকল দ্বৈত নাগরিককে তাদের বিদেশি নাগরিকত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা (সম্ভবত এক বছর) দেওয়া হবে।
যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ না করেন, তবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব হারাবেন।
প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এল যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) বাতিল করার বিষয়ে নানা মন্তব্য করে আসছেন। সব মিলিয়ে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইনকে আরও কঠোর করার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত এটি।
প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব
আমেরিকায় বসবাসরত প্রায় পাঁচ লাখ (আনুমানিক) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করেন, তাদের জীবনে এই আইন সরাসরি এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকদের নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—
১. আর্থিক ও সম্পত্তির অধিকার
*বাংলাদেশে বিনিয়োগ: বহু বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থাবর সম্পত্তি, জমি বা ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছেন। যদি তারা আমেরিকার নাগরিকত্ব ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, তবে বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তির মালিকানা ও উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
*ব্যাংকিং ও লেনদেন: বাংলাদেশে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিদেশি হিসেবে আলাদা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হবে।
২. যাতায়াত ও ভিসা জটিলতা
*দ্বৈত নাগরিকেরা উভয় দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
*বাংলাদেশি হলে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সিলযুক্ত আমেরিকান পাসপোর্ট দিয়ে সহজে বাংলাদেশের যেতে পারেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারালে তাদের প্রতিবার ভিসা নিতে হবে।
৩. রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার
নির্বাচনে অংশগ্রহণ: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে, স্বাভাবিকভাবেই তারা বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে বা ভোট দিতে পারবেন না।
সরকারি চাকরি: বাংলাদেশের সরকারি চাকরি বা অন্য সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. পরিচয়গত সংকট
সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক বন্ধন: অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান নিজেদের উভয় দেশের সংস্কৃতির অংশ মনে করেন। নাগরিকত্ব ছাড়ার এই বাধ্যবাধকতা তাদের মধ্যে এক ধরনের পরিচয়গত সংকট সৃষ্টি করতে এবং জন্মভূমির সঙ্গে তাদের আইনি ও মানসিক সংযোগকে দুর্বল করে দিতে পারে।
রাজনীতিতে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জ
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তারা এটিকে অ-আমেরিকান এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, এটি বহুসংস্কৃতির ঐতিহ্য ও উদার গণতন্ত্রের নীতির পরিপন্থী।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রস্তাবটি আমেরিকান সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে, যা নিশ্চয়তা দেয় যে একজন আমেরিকান নাগরিক স্বেচ্ছায় ত্যাগ না করলে তাকে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাই এটি আইনে পরিণত হলেও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিলটি এখনো সিনেটে প্রস্তাবিত অবস্থায় আছে। আইনে পরিণত হওয়ার আগে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে পাস হওয়া এবং একাধিক আইনি ধাপ পেরোতে হবে।

আমেরিকায় দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিল করার লক্ষ্যে কঠোর একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা। ওহাইওর রিপাবলিকান সিনেটর বার্নি মোরেনো সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি বিল সিনেটে পেশ করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'এক্সক্লুসিভ সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট অব ২০২৫' (Exclusive Citizenship Act of 2025)।
যদি এই বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের দ্বৈত নাগরিকেরা কঠিন এক সংকটের মুখে পড়বেন। আইনটি কার্যকর হলে, তাদের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব বেছে নিতে হবে।
প্রস্তাবের মূল কথা: শুধু আমেরিকার প্রতিই আনুগত্য
সিনেটর মোরেনোর প্রস্তাবের মূল বক্তব্য হলো, একজন আমেরিকান নাগরিকের আনুগত্য শুধুমাত্র আমেরিকার প্রতিই নিবেদিত হওয়া উচিত। দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বার্থের সংঘাত এবং বিভক্ত আনুগত্য (divided loyalties) সৃষ্টি করে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে যা ঘটবে
সকল দ্বৈত নাগরিককে তাদের বিদেশি নাগরিকত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা (সম্ভবত এক বছর) দেওয়া হবে।
যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ না করেন, তবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব হারাবেন।
প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এল যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) বাতিল করার বিষয়ে নানা মন্তব্য করে আসছেন। সব মিলিয়ে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইনকে আরও কঠোর করার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত এটি।
প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব
আমেরিকায় বসবাসরত প্রায় পাঁচ লাখ (আনুমানিক) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করেন, তাদের জীবনে এই আইন সরাসরি এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকদের নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—
১. আর্থিক ও সম্পত্তির অধিকার
*বাংলাদেশে বিনিয়োগ: বহু বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থাবর সম্পত্তি, জমি বা ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছেন। যদি তারা আমেরিকার নাগরিকত্ব ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, তবে বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তির মালিকানা ও উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
*ব্যাংকিং ও লেনদেন: বাংলাদেশে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিদেশি হিসেবে আলাদা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হবে।
২. যাতায়াত ও ভিসা জটিলতা
*দ্বৈত নাগরিকেরা উভয় দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
*বাংলাদেশি হলে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সিলযুক্ত আমেরিকান পাসপোর্ট দিয়ে সহজে বাংলাদেশের যেতে পারেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারালে তাদের প্রতিবার ভিসা নিতে হবে।
৩. রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার
নির্বাচনে অংশগ্রহণ: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে, স্বাভাবিকভাবেই তারা বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে বা ভোট দিতে পারবেন না।
সরকারি চাকরি: বাংলাদেশের সরকারি চাকরি বা অন্য সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. পরিচয়গত সংকট
সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক বন্ধন: অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান নিজেদের উভয় দেশের সংস্কৃতির অংশ মনে করেন। নাগরিকত্ব ছাড়ার এই বাধ্যবাধকতা তাদের মধ্যে এক ধরনের পরিচয়গত সংকট সৃষ্টি করতে এবং জন্মভূমির সঙ্গে তাদের আইনি ও মানসিক সংযোগকে দুর্বল করে দিতে পারে।
রাজনীতিতে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জ
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তারা এটিকে অ-আমেরিকান এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, এটি বহুসংস্কৃতির ঐতিহ্য ও উদার গণতন্ত্রের নীতির পরিপন্থী।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রস্তাবটি আমেরিকান সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে, যা নিশ্চয়তা দেয় যে একজন আমেরিকান নাগরিক স্বেচ্ছায় ত্যাগ না করলে তাকে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাই এটি আইনে পরিণত হলেও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিলটি এখনো সিনেটে প্রস্তাবিত অবস্থায় আছে। আইনে পরিণত হওয়ার আগে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে পাস হওয়া এবং একাধিক আইনি ধাপ পেরোতে হবে।
যদি এই বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের দ্বৈত নাগরিকেরা কঠিন এক সংকটের মুখে পড়বেন। আইনটি কার্যকর হলে, তাদের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব বেছে নিতে হবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে ২টি বুথে 'প্রাণ' ও 'জুটেক্স' এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের বুথে পাটজাত পণ্য, সিরামিকস সামগ্রী, ঔষধসামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্য ও পানীয় সামগ্রীসহ রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করতে যাচ্ছে নতুন একটি আইন। এর অধীনে ১৬ বছরের নিচের কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) ব্যবহার করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও জেদ্দার বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের সার্বিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অ্যাগ্রোফুড এক্সপোর এবারের আসরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি নিয়ে অংশগ্রহণ করে।