প্রতিবেদক, বিডিজেন
পৃথিবীর শতাধিক দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সমস্যা সমাধানে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বুধবার (২১ মে) এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হাতে ১৩ দফা প্রস্তাব সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেয়।
এবি পার্টিরপ্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, আইনজীবী নাসরিন সুলতানা মিলি, সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসাইন ও সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক।
এবি পার্টির প্রস্তাবগুলো হলো–
১. হয়রানি বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়ন সম্পন্ন করতে হবে এবং দ্রুত বিতরণের ক্ষেত্রে কুরিয়ার পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে। মালয়েশিয়াতে ইএসকেএল (ESKL)–এর দুর্নীতি এবং ব্যবসার নামে যে সিন্ডিকেট চলমান আছে, সেটি বন্ধ করে সেবাকে হাইকমিশনের নিয়ন্ত্রণে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
২. আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিউআর কোড পেমেন্ট, অনলাইন ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মতো ডিজিটাল সিস্টেম কার্যকর করতে হবে।
৩. অন্যান্য অফিসের মতো দূতাবাসেও অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সফটওয়্যার চালু করতে হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কারসাজি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।
৪. বিদেশের কারাগারে বন্দী বাংলাদেশিদের সঠিক তালিকা, সংখ্যা ও তাঁদের হালনাগাদ অবস্থা ওয়েবসাইটে থাকতে হবে। দ্রুততম সময়ে তাঁদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. প্রবাসীদের জন্য ৩ মাসের মধ্যে (চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে) একটি আইনি সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে হবে অথবা চলমান সেবাকে ঢেলে সাজাতে হবে। জরুরি আইনি সহায়তা চাওয়া কর্মীদের জন্য একটি ২৪/৭ কল সেন্টার এবং সহজ অনলাইন ফরম বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. দূতাবাসকে শ্রম অভিযোগের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক সমাধান দিতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে মামলা পরিচালনা এবং আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য শ্রম অধিকারবিষয়ক কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৭. কল্যাণ তহবিল বরাদ্দের ওপর প্রতিবছর একটি বিস্তারিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। বিশেষভাবে প্রত্যাবাসন, আইনি সহায়তা এবং জরুরি সুবিধাপ্রাপ্ত প্রবাসীদের সহায়তায় ব্যবহৃত অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৮. প্রতারণামূলক শ্রমিক আমদানিকারক এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়োগকর্তার অনুমোদনের কাগজপত্র সঠিক যাচাই–বাছাইয়ের অনলাইন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। দূতাবাস থেকে প্রতারণামূলক কোম্পানিগুলোকে কালোতালিকাভুক্ত করতে হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় রোধে বিদেশি সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
৯. পরিবারের কাছে মৃতদেহ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব কমাতে ডকুমেন্টেশন সহজ করতে হবে।
১০. দূতাবাসকে শ্রম শোষণের প্রকাশিত ঘটনায় সক্রিয়ভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং কর্মীদের জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. যেসব অঞ্চলে প্রবাসী জনসংখ্যা বেশি সেখানে সঠিক পরিষেবা দিতে দূতাবাসের শাখা অফিস বাড়াতে হবে।
১২. ফ্যাসিবাদের আমলে কর্মরত অতি উৎসাহী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। পেশাদার কর্মকর্তা/কর্মচারী দিয়ে হাইকমিশনগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে।
১৩. প্রবাসীদের নানামুখী সমস্যার সমাধান ও সেবা নিশ্চিতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় সাধন করতে হবে।
দূতাবাসের পরিষেবা, শ্রম অধিকার, আইনি সহায়তা এবং প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থা উন্নত করতে জরুরি ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে এবি পার্টি।
পৃথিবীর শতাধিক দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সমস্যা সমাধানে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বুধবার (২১ মে) এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হাতে ১৩ দফা প্রস্তাব সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেয়।
এবি পার্টিরপ্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, আইনজীবী নাসরিন সুলতানা মিলি, সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসাইন ও সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক।
এবি পার্টির প্রস্তাবগুলো হলো–
১. হয়রানি বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়ন সম্পন্ন করতে হবে এবং দ্রুত বিতরণের ক্ষেত্রে কুরিয়ার পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে। মালয়েশিয়াতে ইএসকেএল (ESKL)–এর দুর্নীতি এবং ব্যবসার নামে যে সিন্ডিকেট চলমান আছে, সেটি বন্ধ করে সেবাকে হাইকমিশনের নিয়ন্ত্রণে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
২. আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিউআর কোড পেমেন্ট, অনলাইন ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মতো ডিজিটাল সিস্টেম কার্যকর করতে হবে।
৩. অন্যান্য অফিসের মতো দূতাবাসেও অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সফটওয়্যার চালু করতে হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কারসাজি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।
৪. বিদেশের কারাগারে বন্দী বাংলাদেশিদের সঠিক তালিকা, সংখ্যা ও তাঁদের হালনাগাদ অবস্থা ওয়েবসাইটে থাকতে হবে। দ্রুততম সময়ে তাঁদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. প্রবাসীদের জন্য ৩ মাসের মধ্যে (চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে) একটি আইনি সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে হবে অথবা চলমান সেবাকে ঢেলে সাজাতে হবে। জরুরি আইনি সহায়তা চাওয়া কর্মীদের জন্য একটি ২৪/৭ কল সেন্টার এবং সহজ অনলাইন ফরম বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. দূতাবাসকে শ্রম অভিযোগের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক সমাধান দিতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে মামলা পরিচালনা এবং আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য শ্রম অধিকারবিষয়ক কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৭. কল্যাণ তহবিল বরাদ্দের ওপর প্রতিবছর একটি বিস্তারিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। বিশেষভাবে প্রত্যাবাসন, আইনি সহায়তা এবং জরুরি সুবিধাপ্রাপ্ত প্রবাসীদের সহায়তায় ব্যবহৃত অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৮. প্রতারণামূলক শ্রমিক আমদানিকারক এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়োগকর্তার অনুমোদনের কাগজপত্র সঠিক যাচাই–বাছাইয়ের অনলাইন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। দূতাবাস থেকে প্রতারণামূলক কোম্পানিগুলোকে কালোতালিকাভুক্ত করতে হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় রোধে বিদেশি সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
৯. পরিবারের কাছে মৃতদেহ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব কমাতে ডকুমেন্টেশন সহজ করতে হবে।
১০. দূতাবাসকে শ্রম শোষণের প্রকাশিত ঘটনায় সক্রিয়ভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং কর্মীদের জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. যেসব অঞ্চলে প্রবাসী জনসংখ্যা বেশি সেখানে সঠিক পরিষেবা দিতে দূতাবাসের শাখা অফিস বাড়াতে হবে।
১২. ফ্যাসিবাদের আমলে কর্মরত অতি উৎসাহী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। পেশাদার কর্মকর্তা/কর্মচারী দিয়ে হাইকমিশনগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে।
১৩. প্রবাসীদের নানামুখী সমস্যার সমাধান ও সেবা নিশ্চিতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় সাধন করতে হবে।
দূতাবাসের পরিষেবা, শ্রম অধিকার, আইনি সহায়তা এবং প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থা উন্নত করতে জরুরি ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে এবি পার্টি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনার চালাকি সবাই বোঝে, শুধু আপনি বোঝেন না। নন্দিত হয়ে বিদায় নেন, নিন্দিত হয়ে বিদায় নিয়েন না, জনগণের অধিকার তাদের ফিরিয়ে দিন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্তে আলাপ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ দাবি জানান।
পৃথিবীর শতাধিক দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সমস্যা সমাধানে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব দেন।