বিডিজেন ডেস্ক
কোনো ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যারা সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বিরোধী।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কোনো প্রকার কুটকৌশল বা ছলচাতুরী ছাড়াই কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা জাতিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। জাতি নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) যদি জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে রাখেন তবে তাদের অলস বসে থাকা এবং আপনার প্রহসন দেখার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে অস্পষ্ট এবং আগামী দিনগুলোতে এটি আরও জটিল হতে পারে। ‘এই প্রতিকূল সময়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমান সরকার জাতিকে আশার আলো দেখাবে। কিন্তু আমি তাদের অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দল যখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তখন সরকারের ভেতরেই কেউ একজন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। ‘এর জবাবে আমরা যদি বলি আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন না, কারণ আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন আমরা ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া, তারা ভুল করছেন। বাস্তবে আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি।’
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কার বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। বাস্তবে আমরা সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখছি না। নির্বাচন নিয়েও আপনারা স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের ভেতরের লোকজনও সংবিধান সংশোধন ও সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের আপনি কে? সংসদ ছাড়া কি সংবিধান পরিবর্তন হবে? আপনাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রুক্ষ খসড়া নয় যে আপনি নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনের মতামত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি এখন দেশে ফিরে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। ‘তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথাও বলছেন।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করায় দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তি চায়, ত্রাণ চায়। যথেষ্ট হয়েছে- আমাদের শান্তি দিন, আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিন। আপনারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসেছেন, কিন্তু এখন কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়াই সংস্কারের কথা বলছেন। আপনারা কী করতে চান তা জনগণকে স্পষ্টভাবে বলুন। জাতিকে অন্ধকারে রেখে আমরা আপনাদের যা খুশি তাই করতে দেব না।’
অহেতুক বিলম্ব না করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও মির্জা আব্বাস আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে একটি অনির্বাচিত সরকারকে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে ফিরতে পারছেন না তা বোধগম্য নয়। ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন তার মামলা বা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসব মামলা প্রত্যাহার করা যায়, কিন্তু আপনারা এটা করছেন না।’
কোনো ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যারা সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বিরোধী।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কোনো প্রকার কুটকৌশল বা ছলচাতুরী ছাড়াই কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা জাতিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। জাতি নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) যদি জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে রাখেন তবে তাদের অলস বসে থাকা এবং আপনার প্রহসন দেখার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে অস্পষ্ট এবং আগামী দিনগুলোতে এটি আরও জটিল হতে পারে। ‘এই প্রতিকূল সময়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমান সরকার জাতিকে আশার আলো দেখাবে। কিন্তু আমি তাদের অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দল যখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তখন সরকারের ভেতরেই কেউ একজন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। ‘এর জবাবে আমরা যদি বলি আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন না, কারণ আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন আমরা ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া, তারা ভুল করছেন। বাস্তবে আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি।’
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কার বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। বাস্তবে আমরা সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখছি না। নির্বাচন নিয়েও আপনারা স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের ভেতরের লোকজনও সংবিধান সংশোধন ও সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের আপনি কে? সংসদ ছাড়া কি সংবিধান পরিবর্তন হবে? আপনাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রুক্ষ খসড়া নয় যে আপনি নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনের মতামত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি এখন দেশে ফিরে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। ‘তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথাও বলছেন।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করায় দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তি চায়, ত্রাণ চায়। যথেষ্ট হয়েছে- আমাদের শান্তি দিন, আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিন। আপনারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসেছেন, কিন্তু এখন কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়াই সংস্কারের কথা বলছেন। আপনারা কী করতে চান তা জনগণকে স্পষ্টভাবে বলুন। জাতিকে অন্ধকারে রেখে আমরা আপনাদের যা খুশি তাই করতে দেব না।’
অহেতুক বিলম্ব না করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও মির্জা আব্বাস আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে একটি অনির্বাচিত সরকারকে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে ফিরতে পারছেন না তা বোধগম্য নয়। ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন তার মামলা বা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসব মামলা প্রত্যাহার করা যায়, কিন্তু আপনারা এটা করছেন না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
দাবি মেনে নেওয়ায় গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রমিকেরা। এর ফলে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বন্ধ ঘোষণা করা ২টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।