বিডিজেন ডেস্ক
আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির জেলা কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল মান্নান।
খবর প্রথম আলোর।
এর আগে দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির জেলা শাখার ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যাবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা শাখার সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা শাখার ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএরপির জেলা শাখার একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে জহিরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির রাজনীতি বেশি দিন চলতে পারে না। আমাদের দাবি পরিষ্কার, স্বচ্ছ ভোটার তালিকার মাধ্যমে গোপন ব্যালটে কাউন্সিল হোক। এখানে কোনো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাদের বলেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক আছে। আমরা আশা করি, তিনি বিষয়টিকে আমলে নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান দেবেন।’
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপির জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির একাংশের সম্মেলন বর্জনসহ প্রতিহতের ঘোষণায় তখন সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৮ জানুয়ারি করা হয়। দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আবার নতুন করে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির জেলা শাখার চারজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে কেন্দ্রীয় বিএনপি ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয়।
বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির জেলা কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল মান্নান।
খবর প্রথম আলোর।
এর আগে দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির জেলা শাখার ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যাবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা শাখার সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা শাখার ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএরপির জেলা শাখার একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে জহিরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির রাজনীতি বেশি দিন চলতে পারে না। আমাদের দাবি পরিষ্কার, স্বচ্ছ ভোটার তালিকার মাধ্যমে গোপন ব্যালটে কাউন্সিল হোক। এখানে কোনো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাদের বলেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক আছে। আমরা আশা করি, তিনি বিষয়টিকে আমলে নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান দেবেন।’
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপির জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির একাংশের সম্মেলন বর্জনসহ প্রতিহতের ঘোষণায় তখন সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৮ জানুয়ারি করা হয়। দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আবার নতুন করে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির জেলা শাখার চারজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে কেন্দ্রীয় বিএনপি ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয়।
বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বশির উদ্দিন বলেন, দুপুর ২টার দিকে লুৎফুজ্জামান বাবর কারাগার থেকে বের হন।
বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী মারা গেছেন। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন আলামিন। স্ত্রী-সন্তান আর পরিবারের সবাইকে নিয়ে কিছুদিন আনন্দে কাটানোর আশা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। বাড়িতে ফিরে ঘরে ঢুকে দেখেন, আড়ার সঙ্গে স্ত্রী পপি বেগমের লাশ ঝুলছে।