বিডিজেন ডেস্ক
এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রবেশ করতে গেলে যেমন পরিচয় হিসেবে পাসপোর্ট দেখাতে হয়। তেমনই এক দেশ আরেক দেশে প্রবেশ করতে গেলে লাগে সেই দেশের অনুমতি পত্র। আর সেই অনুমতি পত্রটিই হল ভিসা। বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশ রয়েছে। সেগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রবেশের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সেই দেশে প্রবেশ করতে হয়। ভিসা সংগ্রহ করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে হয়। অনেক সময়ই এই ভিসা পেতে ভ্রমণকারীকে বেজায় নাকাল হতে হয়। খরচের পাল্লাও নেহাত কম ভারি নয়। আবার কিছু দেশে ভিসা ফি ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়। এইতো কিছু দিন আগেই পাকিস্তান জানাল, তাদের দেশে বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে লাগবে না ভিসা ফি।
আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর অনেক লোকজন যায় সৌদি আরবে। এরমধ্যে বেশিরভাগই কর্মী বা হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু কাজের জন্য সৌদি আরবেই পাড়ি জমিয়েছেন ৫৩ লাখ মানুষ।
এই দেশটিতে যাওয়ার আগ্রহ এখনও অনেকেরই আছে। তাই আসুন জেনে নিই সৌদিতে যেতে ভিসা ফি হিসেবে কত টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। তবে এর আগে জানতে হবে সৌদি সরকার আপনাদের জন্য কি ধরনের ভিসা বরাদ্দ রেখেছে।
সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইট সৌদি ভিসা ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ১৩টি ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। এগুলো হলো- হজ, ওমরাহ, পর্যটক, ব্যবসা, কর্মী, শিক্ষার্থী, চিকিৎসা, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, বিনিয়োগকারী, ট্রানজিট, আবাসিক ও ফ্যামিলি ভিসা।
সৌদি সরকারের এই ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য আপনার জন্য কোন ভিসা আপনার জন্য সেরা তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। আপনার জাতীয়তা এবং আপনি যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর ভিত্তি করে, প্রয়োজনীয়তা, যোগ্যতা এবং ভিসার ফি আলাদা হবে। আপনার জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তার সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জাতীয়তার জন্য সবচেয়ে সঠিক এবং আপ-টু-ডেট তথ্যের জন্য আপনার দেশের সরকারি সৌদি আরব দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট চেক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি আরবের সবচেয়ে সাধারণ ভিসা হল ট্যুরিস্ট ভিসা। এটি অবসর সময় কাটানো, দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের জন্য দেওয়া হয়। সৌদি ট্যুরিস্ট ভিসা ফি আবেদনকারীর জাতীয়তা, থাকার সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ৫০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ৩০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ হাজার ৮৬৮ টাকা পর্যন্ত হতে পারে) । নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের তাদের থাকার সময় আবাসনের প্রমাণ, রিটার্ন ফ্লাইটের টিকিট এবং পর্যাপ্ত তহবিলসহ অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হতে পারে।
সৌদি ব্যবসা ভিসা সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দেশটিতে ভ্রমণ করছেন। একইভাবে সৌদি আরবের ট্যুরিস্ট ভিসার মূল্য, ব্যবসায়িক ভিসার খরচ জাতীয়তা, সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে। এই ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে ব্যবসায়িক নথির সাথে সৌদি কোম্পানির একটি আমন্ত্রণপত্র প্রদান করতে হতে পারে। জরুরী ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হলে আপনাকে অতিরিক্ত ফি দিতে হতে পারে।
সৌদির কর্মী ভিসা এমন বিদেশিদের জন্য যারা সৌদি আরবে কাজ করতে চান, সৌদি কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে বা স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে। সৌদি আরবের কর্মী ভিসার খরচ চাকরির ধরন, থাকার সময়কাল এবং আবেদনকারীর জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এর ফি কয়েক শ ডলার থেকে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। সৌদি নিয়োগকর্তা সাধারণত কর্মচারীকে স্পনসর করে, এই খরচ বহন করে। আবেদন করার সময়, আবেদনকারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে এবং চাকরির প্রস্তাব, চাকরির চুক্তি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ বিভিন্ন নথি প্রদান করতে হবে।
সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা তাদের জন্য যারা দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। এটি বিদেশি ব্যক্তিদের তাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য বৈধভাবে সৌদিতে বসবাস করার অনুমতি দেয়। এই ভিসার জন্য ফি অধ্যয়নের সময়কাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আবেদনকারীর জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হওয়া হতে পারে।
হজ ভিসা বিশেষভাবে মুসলমানদের দেওয়া হয়। হজ হল ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। সামর্থ্য রাখে এমন মুসলমানদের জন্য হিজরি জিলহজ মাসে হজ করা ফরজ ৷ হজ ভিসা সাধারণত বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট বা হজ ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে দেওয়া হজয়। এই ভিসা ফি সাধারণত আপনার জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) থেকে থেকে ৩০০ ডলার ( ৩৫ হাজার ৮৬৮ টাকা) পর্যন্ত হয়। এছাড়া ওমরাহ ভিসা ফিও এক থেকে দেড় শ ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে (বাংলাদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা থেকে ১৭ হাজার ৯৩৪ টাকা) পর্যন্ত হয়।
সৌদি ট্রানজিট ভিসা তাদের দেওয়া হয় যারা চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সৌদি আরবে কিছু সময় অবস্থান করে। ট্রানজিট ভিসা সাধারণত একটি স্বল্প সময়ের জন্য বৈধ। এর মেয়াদ তিন দিন। এই ভিসা ফি পেতে ২০ ডলার (২ হাজার ৩৯১ ডলার) থেকে ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ট্রানজিটের মেয়াদ বাড়লে থাকার জন্য অতিরিক্ত ফি প্রয়োজন হতে পারে।
ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সৌদিতে থাকা তাদের পরিবার বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এ জন্য একজন ব্যক্তিকে ৫০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ২০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
সৌদিতে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হলে একজন ব্যক্তিকে দেশটির মেডিক্যাল ভিসা নিতে হবে। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল ভিসা কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য দেয় সৌদি সরকার। কূটনৈতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার জন্য প্রায়ই ভিসা ফি প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের কিছু প্রশাসনিক চার্জ ও সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।
সৌদির বিনিয়োগকারী ভিসা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়। বিনিয়োগের ধরন, বিনিয়োগের আকার, এবং প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনীয়তাসহ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারী ভিসার জন্য ফি পরিবর্তিত হয়। এ ভিসা পেতে একজন ব্যক্তিতে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) থেকে ৫ হাজার ডলার ( ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮০৫ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
সংবাদ কর্মীদের জন্য জার্নালিস্ট ভিসা রয়েছে সৌদি আরবের। সাংবাদিক ভিসার জন্য ফি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির অবস্থা, থাকার সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনীয়তা। একজন সাংবাদিককে জার্নালিস্ট ভিসার জন্য ৫০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ২০০ ডলার (( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগেতে পারে। এই ভিসা কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস মেয়াদী হতে পারে।
সৌদি রেসিডেন্স ভিসা একজন ব্যক্তিকে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য সৌদি আরবে বসবাসের অনুমতি দেয়। এই ভিসা দিয়ে একজন ব্যক্তি দেশটিতে বসবাস ও কাজ করার আইনি অনুমোদন পায়। এই ভিসার জন্য একজন ব্যক্তিকে ফি হিসেবে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) থেকে ২ হাজার ডলার ( ২ লাখ ৩৯ হাজার ১২২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রবেশ করতে গেলে যেমন পরিচয় হিসেবে পাসপোর্ট দেখাতে হয়। তেমনই এক দেশ আরেক দেশে প্রবেশ করতে গেলে লাগে সেই দেশের অনুমতি পত্র। আর সেই অনুমতি পত্রটিই হল ভিসা। বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশ রয়েছে। সেগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রবেশের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সেই দেশে প্রবেশ করতে হয়। ভিসা সংগ্রহ করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে হয়। অনেক সময়ই এই ভিসা পেতে ভ্রমণকারীকে বেজায় নাকাল হতে হয়। খরচের পাল্লাও নেহাত কম ভারি নয়। আবার কিছু দেশে ভিসা ফি ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়। এইতো কিছু দিন আগেই পাকিস্তান জানাল, তাদের দেশে বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে লাগবে না ভিসা ফি।
আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর অনেক লোকজন যায় সৌদি আরবে। এরমধ্যে বেশিরভাগই কর্মী বা হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু কাজের জন্য সৌদি আরবেই পাড়ি জমিয়েছেন ৫৩ লাখ মানুষ।
এই দেশটিতে যাওয়ার আগ্রহ এখনও অনেকেরই আছে। তাই আসুন জেনে নিই সৌদিতে যেতে ভিসা ফি হিসেবে কত টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। তবে এর আগে জানতে হবে সৌদি সরকার আপনাদের জন্য কি ধরনের ভিসা বরাদ্দ রেখেছে।
সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইট সৌদি ভিসা ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ১৩টি ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। এগুলো হলো- হজ, ওমরাহ, পর্যটক, ব্যবসা, কর্মী, শিক্ষার্থী, চিকিৎসা, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, বিনিয়োগকারী, ট্রানজিট, আবাসিক ও ফ্যামিলি ভিসা।
সৌদি সরকারের এই ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য আপনার জন্য কোন ভিসা আপনার জন্য সেরা তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। আপনার জাতীয়তা এবং আপনি যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর ভিত্তি করে, প্রয়োজনীয়তা, যোগ্যতা এবং ভিসার ফি আলাদা হবে। আপনার জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তার সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জাতীয়তার জন্য সবচেয়ে সঠিক এবং আপ-টু-ডেট তথ্যের জন্য আপনার দেশের সরকারি সৌদি আরব দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট চেক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি আরবের সবচেয়ে সাধারণ ভিসা হল ট্যুরিস্ট ভিসা। এটি অবসর সময় কাটানো, দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের জন্য দেওয়া হয়। সৌদি ট্যুরিস্ট ভিসা ফি আবেদনকারীর জাতীয়তা, থাকার সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ৫০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ৩০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ হাজার ৮৬৮ টাকা পর্যন্ত হতে পারে) । নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের তাদের থাকার সময় আবাসনের প্রমাণ, রিটার্ন ফ্লাইটের টিকিট এবং পর্যাপ্ত তহবিলসহ অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হতে পারে।
সৌদি ব্যবসা ভিসা সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দেশটিতে ভ্রমণ করছেন। একইভাবে সৌদি আরবের ট্যুরিস্ট ভিসার মূল্য, ব্যবসায়িক ভিসার খরচ জাতীয়তা, সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে। এই ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে ব্যবসায়িক নথির সাথে সৌদি কোম্পানির একটি আমন্ত্রণপত্র প্রদান করতে হতে পারে। জরুরী ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হলে আপনাকে অতিরিক্ত ফি দিতে হতে পারে।
সৌদির কর্মী ভিসা এমন বিদেশিদের জন্য যারা সৌদি আরবে কাজ করতে চান, সৌদি কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে বা স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে। সৌদি আরবের কর্মী ভিসার খরচ চাকরির ধরন, থাকার সময়কাল এবং আবেদনকারীর জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এর ফি কয়েক শ ডলার থেকে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। সৌদি নিয়োগকর্তা সাধারণত কর্মচারীকে স্পনসর করে, এই খরচ বহন করে। আবেদন করার সময়, আবেদনকারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে এবং চাকরির প্রস্তাব, চাকরির চুক্তি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ বিভিন্ন নথি প্রদান করতে হবে।
সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা তাদের জন্য যারা দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। এটি বিদেশি ব্যক্তিদের তাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য বৈধভাবে সৌদিতে বসবাস করার অনুমতি দেয়। এই ভিসার জন্য ফি অধ্যয়নের সময়কাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আবেদনকারীর জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হওয়া হতে পারে।
হজ ভিসা বিশেষভাবে মুসলমানদের দেওয়া হয়। হজ হল ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। সামর্থ্য রাখে এমন মুসলমানদের জন্য হিজরি জিলহজ মাসে হজ করা ফরজ ৷ হজ ভিসা সাধারণত বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট বা হজ ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে দেওয়া হজয়। এই ভিসা ফি সাধারণত আপনার জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) থেকে থেকে ৩০০ ডলার ( ৩৫ হাজার ৮৬৮ টাকা) পর্যন্ত হয়। এছাড়া ওমরাহ ভিসা ফিও এক থেকে দেড় শ ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে (বাংলাদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা থেকে ১৭ হাজার ৯৩৪ টাকা) পর্যন্ত হয়।
সৌদি ট্রানজিট ভিসা তাদের দেওয়া হয় যারা চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সৌদি আরবে কিছু সময় অবস্থান করে। ট্রানজিট ভিসা সাধারণত একটি স্বল্প সময়ের জন্য বৈধ। এর মেয়াদ তিন দিন। এই ভিসা ফি পেতে ২০ ডলার (২ হাজার ৩৯১ ডলার) থেকে ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ট্রানজিটের মেয়াদ বাড়লে থাকার জন্য অতিরিক্ত ফি প্রয়োজন হতে পারে।
ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সৌদিতে থাকা তাদের পরিবার বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এ জন্য একজন ব্যক্তিকে ৫০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ২০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
সৌদিতে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হলে একজন ব্যক্তিকে দেশটির মেডিক্যাল ভিসা নিতে হবে। এই ভিসার ফি ১০০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৯৫৬ টাকা) থেকে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল ভিসা কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য দেয় সৌদি সরকার। কূটনৈতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার জন্য প্রায়ই ভিসা ফি প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের কিছু প্রশাসনিক চার্জ ও সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।
সৌদির বিনিয়োগকারী ভিসা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়। বিনিয়োগের ধরন, বিনিয়োগের আকার, এবং প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনীয়তাসহ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারী ভিসার জন্য ফি পরিবর্তিত হয়। এ ভিসা পেতে একজন ব্যক্তিতে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) থেকে ৫ হাজার ডলার ( ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮০৫ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
সংবাদ কর্মীদের জন্য জার্নালিস্ট ভিসা রয়েছে সৌদি আরবের। সাংবাদিক ভিসার জন্য ফি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির অবস্থা, থাকার সময়কাল এবং প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনীয়তা। একজন সাংবাদিককে জার্নালিস্ট ভিসার জন্য ৫০ ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৯৭৮ টাকা) থেকে ২০০ ডলার (( বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯১২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগেতে পারে। এই ভিসা কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস মেয়াদী হতে পারে।
সৌদি রেসিডেন্স ভিসা একজন ব্যক্তিকে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য সৌদি আরবে বসবাসের অনুমতি দেয়। এই ভিসা দিয়ে একজন ব্যক্তি দেশটিতে বসবাস ও কাজ করার আইনি অনুমোদন পায়। এই ভিসার জন্য একজন ব্যক্তিকে ফি হিসেবে ৫০০ ডলার ( ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা) থেকে ২ হাজার ডলার ( ২ লাখ ৩৯ হাজার ১২২ টাকা) পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।
ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা ফাঁদ পেতে রাখে। শুধু টাকাপয়সা নেওয়াই নয় স্মার্টফোন কব্জা করে আপনার অজান্তেই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য তারা হাতিয়ে নিতে পারে নিমেষে। তা হলে উপায়?
আমরা দিনের শুরুতে অনেকেই চা পান করি। কেউ খালি পেটে পান করি, আবার কেউ নাশতার সময় পান করি। পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ের অনেক উপকারী গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু খালি পেটে চা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? কী কী হতে পারে খালি পেটে চা খেলে?
শীতে গরম পানি ছাড়া গোসল করার কথা যেন ভাবাই যায় না। তবে গরম পানি নিয়ে রয়েছে নানা বিশেষজ্ঞের নানা মত। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো না খারাপ!