বিডিজেন ডেস্ক
রাতে না ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কেউ অফিসের কাজে, কেউবা অকারণে না ঘুমিয়ে পার করছেন রাত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, আহার ও বিশ্রাম দরকার। ঘুম কম হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে দু'একদিন রাত জাগলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু একটানা দীর্ঘদিন রাত জাগলে ভয়াবহ শরীরিক ক্ষতি হতে পারে।
আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন রাত জাগার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাত জাগলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
১. মেটাবলিক ডিজঅর্ডার
মেটাবলিক ডিজঅর্ডার হলো এমন এক ব্যাধি যা শরীরের প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টগুলোর প্রক্রিয়াকরণ এবং বিতরণকে নেতিবাচকভাবে পরিবর্তন করে। এর ফলে অলসতা, ওজন কমে যাওয়া, জন্ডিস ও খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
২. স্লিপ ডিজঅর্ডার
আমাদের শরীরে একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি রয়েছে যাকে সার্কাডিয়ান সাইকেল বলা হয়। এই রিদম ২৪ ঘণ্টা উপর ভিত্তি করে আমাদের শরীরকে বলে দেয় কখন ঘুমাতে হবে এবং কখন জেগে উঠতে হবে। এটি হরমোন, হজম এবং শরীরের তাপমাত্রার মতো শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এরিক ঝাউ বলেন, দীর্ঘ দিন রাত জাগলে মানব শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ সার্কাডিয়ান সাইকেলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে হতে পারে অনিদ্রার মতো মারাত্মক সমস্যা। ঘুমের ব্যাধি বা স্লিপিং ডিসঅর্ডারের ফলে শারীরিক ক্লান্তি, অবসাদ, বিরক্তি, কোনও কাজে মনোযোগ দিতে না পারার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
সাউথ ক্যারোলাইনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুন পিচার জানান, চট করে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, প্রিয়জনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা, ছোটখাটো সমস্যাতেই প্রতিক্রিয়া দেখানো, এগুলো রাতে ঘুম না হওয়ার ফলেই হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে পারে। প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। পড়ে যেতে পারে চুলও।
৩. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার বা পাচনতন্ত্র ব্যাধী। সার্কাডিয়ান সাইকেল পাচনতন্ত্রকেও প্রভাবিত করে। রাত জাগার ফলে এই সাইকেলের নেতিবাচক প্রভাব পাচনতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এতে করে পেটে অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
৪. কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হলো হৃৎপিণ্ড বা রক্তনালীর সাথে জড়িত যেকোনো রোগ। এটি রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ নামেও পরিচিত।।এই অবস্থায় হৃদপিণ্ডের পেশীতে পর্যাপ্ত রক্ত ,অক্সিজেন এবং পুষ্টি পাঠাতে বাধা প্রাপ্ত হয়।এতে করে বুকে ব্যথা , শ্বাসকষ্ট , ক্লান্তি , চেতনা হ্রাস, হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাত জেগে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
৫. ক্যানসার
রাত জাগার ফলে সার্কাডিয়ান সাইকেলের ভারসাম্যহীনতা মানবদেহের সেলুলার ফাংশনে প্রভাব ফেলে।এটি ডিএনএ ও কোষ চক্রতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রাম অনুসারে সার্কাডিয়ান সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটলে ক্যানসারের মতো মরণ ব্যাধি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
রাতে না ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কেউ অফিসের কাজে, কেউবা অকারণে না ঘুমিয়ে পার করছেন রাত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, আহার ও বিশ্রাম দরকার। ঘুম কম হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে দু'একদিন রাত জাগলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু একটানা দীর্ঘদিন রাত জাগলে ভয়াবহ শরীরিক ক্ষতি হতে পারে।
আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন রাত জাগার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাত জাগলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
১. মেটাবলিক ডিজঅর্ডার
মেটাবলিক ডিজঅর্ডার হলো এমন এক ব্যাধি যা শরীরের প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টগুলোর প্রক্রিয়াকরণ এবং বিতরণকে নেতিবাচকভাবে পরিবর্তন করে। এর ফলে অলসতা, ওজন কমে যাওয়া, জন্ডিস ও খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
২. স্লিপ ডিজঅর্ডার
আমাদের শরীরে একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি রয়েছে যাকে সার্কাডিয়ান সাইকেল বলা হয়। এই রিদম ২৪ ঘণ্টা উপর ভিত্তি করে আমাদের শরীরকে বলে দেয় কখন ঘুমাতে হবে এবং কখন জেগে উঠতে হবে। এটি হরমোন, হজম এবং শরীরের তাপমাত্রার মতো শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এরিক ঝাউ বলেন, দীর্ঘ দিন রাত জাগলে মানব শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ সার্কাডিয়ান সাইকেলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে হতে পারে অনিদ্রার মতো মারাত্মক সমস্যা। ঘুমের ব্যাধি বা স্লিপিং ডিসঅর্ডারের ফলে শারীরিক ক্লান্তি, অবসাদ, বিরক্তি, কোনও কাজে মনোযোগ দিতে না পারার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
সাউথ ক্যারোলাইনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুন পিচার জানান, চট করে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, প্রিয়জনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা, ছোটখাটো সমস্যাতেই প্রতিক্রিয়া দেখানো, এগুলো রাতে ঘুম না হওয়ার ফলেই হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে পারে। প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। পড়ে যেতে পারে চুলও।
৩. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার বা পাচনতন্ত্র ব্যাধী। সার্কাডিয়ান সাইকেল পাচনতন্ত্রকেও প্রভাবিত করে। রাত জাগার ফলে এই সাইকেলের নেতিবাচক প্রভাব পাচনতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এতে করে পেটে অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
৪. কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হলো হৃৎপিণ্ড বা রক্তনালীর সাথে জড়িত যেকোনো রোগ। এটি রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ নামেও পরিচিত।।এই অবস্থায় হৃদপিণ্ডের পেশীতে পর্যাপ্ত রক্ত ,অক্সিজেন এবং পুষ্টি পাঠাতে বাধা প্রাপ্ত হয়।এতে করে বুকে ব্যথা , শ্বাসকষ্ট , ক্লান্তি , চেতনা হ্রাস, হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাত জেগে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
৫. ক্যানসার
রাত জাগার ফলে সার্কাডিয়ান সাইকেলের ভারসাম্যহীনতা মানবদেহের সেলুলার ফাংশনে প্রভাব ফেলে।এটি ডিএনএ ও কোষ চক্রতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রাম অনুসারে সার্কাডিয়ান সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটলে ক্যানসারের মতো মরণ ব্যাধি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা ফাঁদ পেতে রাখে। শুধু টাকাপয়সা নেওয়াই নয় স্মার্টফোন কব্জা করে আপনার অজান্তেই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য তারা হাতিয়ে নিতে পারে নিমেষে। তা হলে উপায়?
আমরা দিনের শুরুতে অনেকেই চা পান করি। কেউ খালি পেটে পান করি, আবার কেউ নাশতার সময় পান করি। পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ের অনেক উপকারী গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু খালি পেটে চা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? কী কী হতে পারে খালি পেটে চা খেলে?
শীতে গরম পানি ছাড়া গোসল করার কথা যেন ভাবাই যায় না। তবে গরম পানি নিয়ে রয়েছে নানা বিশেষজ্ঞের নানা মত। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো না খারাপ!