আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিজ বাসায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আটক তিনজন বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল আজীম দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভারতের পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনের সঙ্গে ভারতের কেউ জড়িত না। বাংলাদেশিরা খুন করেছে। সেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারত আমাদের যথেষ্ট কো-অপারেশন করছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘তদন্ত চলছে, যারা যারা এ খুনের সাথে জড়িত সবার বিষয়ে জানতে পারব। ভারতের পুলিশও সহযোগিতা করছে। আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। তদন্ত শেষ হলে এ খুনের মোটিভ কী, সবকিছু বিস্তারিত দিতে পারব আমরা।’
এদিকে, কলকাতা সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম সঞ্জীব রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এক্সাইজ (শুল্ক) দপ্তরের কর্মকর্তা।’
এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানায়, আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি বলেছেন, ‘আখতারুজ্জামান নামে এক মার্কিন নাগরিককে সঞ্জীব রায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ভিকটিম বা অভিযুক্তদের কী সম্পর্ক, কলকাতা পুলিশ এখনো সেটি খুঁজছে।’
এ ছাড়া ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে এমপি আজীমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে , সেখানে পুলিশ কোনো লাশ খুঁজে পায়নি। কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনকে এ তথ্য জানিয়েছে। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কলকাতায় আমাদের উপ-হাইকমিশনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছি। তারা কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। তিনি বলেছেন, পারিবারিক, ব্যবসায়িক নাকি আর্থিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হবে। ভারতীয় পুলিশের সাথে প্রতি মুহূর্তেই কথা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সে সব বিষয় বলতে চাচ্ছি না।
সংসদ ভবন এলাকা থেকে এমপি আজীম ভারতের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এ জন্য শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করার পরই ডিবি তদন্ত শুরু করবে।
এর আগে কলকাতা বিধান নগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাবচালক জানিয়েছে ১৩ মে যে ব্যক্তিকে সে গাড়িতে তুলেছিল, তাকে এই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে নামিয়ে দেয়।’
এমপি আজীম নিখোঁজের ঘটনায় কলকাতা সংলগ্ন সিঁথি পুলিশ স্টেশনে একটি জিডি করা হয়। সেখানকার এক শীর্ষ কর্মকর্তা ওই ফ্ল্যাটের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বলে জানায় বিবিসি বাংলা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা একেকজন পৃথক পৃথকভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছে। ১৫ মে একজন, ১৬ মে আরেকজন এবং ১৭ মে আরেকজন বের হয়েছেন সেখান থেকে। তিনজনের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।
',tags:[],news_slug:"msyz5tre7k",story_type:"Story"}}},video:{},photo:{},home:{loading:"IDLE",collections:[],error:null},section:{},tag:{},author:{}}