গত জানুয়ারিতে আইসিসি জানায়, তারা গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত করছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত এক শর বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
আরএসএফ জানিয়েছে, তাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে যে ‘কিছু সাংবাদিককে ইচ্ছা করে হত্যা করা হয়েছে এবং বাকিরা বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্বিচার হামলার শিকার।’ অভিযোগে আরএসএফ ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০ মের মধ্যে নিহত নয় জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের কথা উল্লেখ করে। পাশাপাশি আহত হয়ে পরবর্তী মারা গেছেন এমন একজনের কথাও বলেছে সংস্থাটি।
আরএসএফের অ্যাডভোকেসি ও সহকারি পরিচালক অ্যান্টন বার্নার্ড বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের হত্যা করে, তারা জনগণের তথ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে হামলা করছে। যে অধিকার রক্ষা করা সংঘাতের সময় অত্যন্ত জরুরি।’
গত সপ্তাহে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান আইসিসিকে শীর্ষ ইসরায়েলি ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে আলোচনায় এসেছেন।
ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটি জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধে অন্তত ১০৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি ১৯৯২ সাল থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। তারা বলছে, এত কম সময়ে এত জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনা নজিরবিহীন। এই সময়টাকে ‘সাংবাদিকতার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করে সংস্থাটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৭০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫২ জন। জিম্মিদের মধ্যে ১২৪ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩৭ জন ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন।
এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সে দিনই গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ইসরায়েলের হামলায় ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।